বিড়াল কামড়ালে করণীয়

 

 

যদি আপনার সন্তানকে বিড়াল আঁচড় কিংবা কামড় দেয় তাহলে প্রথম কাজ, অবশ্যই শান্ত থাকতে হবে। সাথে সাথে আপনার সন্তানকে অভয় দিন যে তেমন কিছুই হবে না। যত দ্রুত সম্ভব বিড়াল কামড়ালে আপনার সন্তানকে নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। পরে চিকিৎসকই জখমের মাত্রা দেখে ঠিক করবেন কোন চিকিৎসা দেয়া যায়। বিড়াল কামড়ালে নিম্নক্ত চিকিৎসা মূলত দেয়া হয়ে থাকেঃ

বিড়াল কামড়ালে যদি ক্ষতস্থান বেশি গভীর না হয় আর বিড়ালটি যদি সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে তবে -

  • সাবান পানি দিয়ে ক্ষতস্থান ভালোভাবে ধুয়ে দিতে হবে। অন্তত ৫ মিনিট ধরে ধুতে হবে। জোরে জোরে কচলিয়ে না ধুয়াই ভাল কারণ এতে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • ক্ষতস্থানে এন্টিসেপ্টিক মলম লাগাতে হবে। 
  • যদি ইনফেকশন হয়ে যায় তাহলে ইনফেকশনের লক্ষণসমূহ ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। বিড়ালের কামড়ে ইনফেকশন হলে সাধারণত জ্বর, ক্ষতস্থানের চারপাশ বেশি লাল হয়ে যাওয়া কিংবা ফুলে যাওয়া, ক্ষতস্থান হতে তরল বা পুঁজ নির্গত হওয়া ইত্যাদি হলে সময় নষ্ট না করে জলদি চিকিৎসকের কাছে যান।

 


 

যদি বিড়াল কামড়ালে আক্রান্ত স্থানে গভীর ক্ষত দেখা দেয় তবে নিচের পদক্ষেপ অনুসরণ করুনঃ

  • বিড়ালের কামড়ে ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত হতে থাকলে  পরিষ্কার ব্যান্ডেজ বা টিস্যু পেপার দিয়ে আলতো চাপ দিয়ে রাখুন। এক্ষেত্রে নরম তোয়ালেও ব্যবহার করতে পারেন।
  • সাবান পানি দিয়ে ক্ষতস্থান ভালভাবে ধুয়ে নিন এবং জোরে চাপ দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • ক্ষতস্থান ভালভাবে শুকিয়ে নিন এবং জিবানুমক্ত ড্রেসিং দিয়ে ঢেকে দিন। 
  • বিড়াল কামড়ালে ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ টেপ কিংবা বাটারফ্লাই ব্যান্ডেজ ব্যবার করবেন না। কারণ এতেকরে ক্ষতস্থানে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে।  
  • যত দ্রুত সম্ভব হয় চিকিৎসকের কাছে আপনার সন্তানকে নিয়ে যান। চিকিৎসক ক্ষতস্থানের গভীরতা ও মাত্রা দেখে ঠিক করবেন কি ধরনের এন্টিবায়োটিক , টিটেনাসের বুস্টার, জলাতঙ্কের ভ্যাক্সিন বা সেলাই প্রয়োজন। চিকিৎসককে বিড়ালের কামড় সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করতে হবে যেমন হাত ও হাতের কব্জির আশেপাশে যদি বিড়াল কামড়ায়। কারণ এধরনের বিড়ালের কামড় সাধারণত ইনফেকশনের সম্ভাবনা বারিয়ে দেয়।
  • সম্ভব হলে যে বিড়ালটি কামড় দিয়েছে সেটিকে খুঁজুন ও আটক করুন। তবে সাবধান, নিজে নিজে ধরতে যাবেন না। পারলে আশেপাশে কোনো প্রাণী রক্ষক বা বিড়াল ধরতে অভিজ্ঞ এরকম লোক খুঁজুন। বিড়ালটিকে আটকে রেখে প্রতিদিন পর্যবেক্ষণে রাখুন যে এর মধ্যে জলাতঙ্ক বা অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের কোন লক্ষণ রয়েছে কিনা।
  • যদি বিড়ালটি সত্যি সত্যিই জলাতঙ্ক বা রোগাক্রান্ত হয় তবে আপনার সন্তানকে অবশ্যই বেশ কয়েকটি জলাতঙ্কের টিকা দিতে হবে।  

বিড়াল কামড়ালে যদি আপনার সন্তানের ফ্লু টাইপের কোনো সংক্রমণ বা লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। লক্ষণসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জ্বর, মাথাব্যথা, অস্বস্তি বোধ, খাবারে অরুচি এবং গ্লান্ড ফুলে যাওয়া।