গিরিবাজ কবুতর কিভাবে চিনবেন?

 


গিরিবাজ জাতের কবুতর চেনার উপায় আমাদের অনেকেরই জানা নেই। কবুতর পালন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় একটি পেশা

অনেকেই শখের বসে আবার অনেকেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কবুতর পালন করে থাকেন। আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি জাতের কবুতর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল গিরিবাজ জাতের কবুতর। গিরিবাজ জাতের কবুতর চেনার উপায় কেউ কেউ জানেন না। চলুন আজকে জেনে নেই গিরিবাজ জাতের কবুতর চেনার উপায় সম্পর্কে-

আমরা অনেকেই জানিনা যে কিভাবে গিরিবাজ কবুতর চেনা যায়?  কবুতর পালন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় একটি শখ হলেও অনেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও কবুতর পালন করে থাকেন। আমাদের দেশে প্রাপ্ত বিভিন্ন জাতের কবুতরের মধ্য গিরিবাজ জাতের কবুতর বেশ বিখ্যাত। কিন্তু অনেকেই এই কবুতর চিনতে পারেন না। আসুন জেনে নেই গিরিবাজ কবুতর কিভাবে চিনবেন?

গিরিবাজ  কবুতর কিভাবে চিনবেন?:

গিরিবাজ কবুরতরের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো হলঃ 

গিরিবাজ কবুতরের চোখঃ


  • গিরিবাজ কবুতরের চোখ বেশ উজ্জ্বল হয়ে থাকে।
  • গিরিবাজ কবুতরের চোখ রোদের দিকে ধরলে চোখের মণি ছোট-বড় হতে থাকবে অর্থাৎ অনেকটা জুম করার মত দেখাবে।
  • এই জাতের কবুতর কিছু সময় ধরে রাখলেই বোঝা যাবে যে এদের চোখের মনি এক জায়গায় স্থির থাকবে না, চোখ ও চোখের মণি বেশ কাঁপাকাঁপি করতে থাকবে।


গিরিবাজ কবুতরের ডানাঃ


  •  গিরিবাজ কবুরের ডানা সাধারণত রাউন্ড শেপের হয়। কিছু গিরিবাজ কবুতরের ডানা দেখতে তলোয়ার বা তীরের ডগার মতো হয়।
  • যেসব গিরিবাজ কবুতরের ডানা কিছুটা বড় হয় এবং চিকন প্রকৃতির হয় সেই সব গিরিবাজ কবুতর সাধারণত বেশি উড়তে সক্ষম হয়।

গিরিবাজ কবুতরের লেজঃ


  • গিরিবাজ জাতের কবুতর হাতে নেয়া হলে দেখা যাবে যে  কিছু কবুতরের লেজ সম্পূর্ণ খুলে যায় । আবার কোনো কোনো কবুতরের লেজ বন্ধ থাকে। এখানে একটা বিশেষ বিষয় লক্ষণীয়। যেসব কবুতরের লেজ পুরোপুরি খুলে যায় সেসব কবুতর ঝড়ের কবলে পড়লে কখনো বাসায় ফিরে আসে না। ঝড়ের সাথেই এরা অন্যত্র চলে যায়। আর যেসব গিরিবাজ কবুতরের লেজ বন্ধ থাকে সেগুলো ঝড়ের কবলে পরলেও পুনরায়  ফিরে আসতে সক্ষম।
  • আবার কিছু কিছু গিরিবাজ কবুতরের লেজ অনেকটা দেখতে হয় অনেকটা নৌকার মত বাঁকা।এই ধরনের গিরিবাজ  কবুতর বাজি দিতেও সক্ষম ও এরা খাঁড়া অবস্থায় বাজি খেয়ে নিচের দিকে পড়ে যায় না বরং উপরেই উঠতে থাকে।

 

গিরিবাজ কবুতরের স্বাস্থ্যঃ


গিরিবাজ কবুতরের কবুতরের উড়বার ক্ষমতা এদের সাস্থ্যের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। তবে যেসব গিরিবাজ কবুতর অধিক পরিমাণ খাবার খায় সেসব গিরিবাজ কবুতর খুব  একটা উড়তে পারে না। আর গিরিবাজ কবুতর বেশি মোটাসোটা হলে সেই কবুতর ভালো লাইনের হওয়া স্বত্বেও তেমনটা উড়তে সক্ষম হয় না। সুতরাং গিরিবাজ জাতের কবুতর যদি একমাত্র উড়ার জন্য পালন করা হয় তবে সেই কবুতরের স্বাস্থ্য ঠিক ঠাক রাখার জন্য পরিমিত মাত্রায় খাওয়াতে হবে। কোনক্রমেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণ খাদ্য প্রদান করা ঠিক হবে না।