মানবজাতির সবচেয়ে নিকটাত্মীয় বনোবো ও শিম্পাঞ্জি


 

এতদিন বলা হয়ে আসছিল যে শিম্পাঞ্জিরাই আমাদের সবচেয়ে কাছের আত্মীয়, তবে এখন শুধু শিম্পাঞ্জিই এ খেতাবের একছত্র অধিপতি নয়

। একটি আন্তর্জাতিক রিসার্চ টিম প্রথম বারের মত বনোবোর জিনোমের সিকোয়েন্স করেছেন। তারা নিশ্চিত করেছেন যে বনোবো ও শিম্পাঞ্জির ঠিক একই অনুপাতে ডিএনএ এর মিল রয়েছে মানুষের সাথে। দলটি এই তিনটি প্রজাতির জিনোমে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর ছোট ছোট পার্থক্যও খুঁজে পেয়েছেন যেটির মাধ্যমে বোঝা যায় যে কেন এই তিনটি প্রজাতি একে অপরের থেকে আলাদা। যেটির মাধ্যমে ধারণা করা যায় যে ৯৯% ডিএনএ গত মিল থাকা সত্ত্বেও কেন শিম্পাঞ্জি ও বনোবোরা আমাদের মত আচরণ করেনা। 

 


 

জার্মানির লেইপজিগে অবস্থিত  ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট অব ইভলুশনারি অ্যানথ্রপলজি বিভাগের সদস্য ও কম্পিটিউশনাল বায়োলজিস্ট জ্যানেট কেলসো বলেন “আমরা জিনগত ভাবে অনেক কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছি, কিন্তু এখনও আমাদের আচরণ আলাদা। আর ঠিক এ বিষয়টিই আমাদের জিনগত ভিত্তির দিকে দৃষ্টি আরোপ করার  সুযোগ করে দিবে যে ঠিক কোন কারণে শিম্পাঞ্জি ও বনোবো আমাদের থেকে আলাদা।”

 



২০০৫ সালে যখন থেকে বিজ্ঞানিরা জিনোম সিকোয়েন্স করে  দেখলেন যে শিম্পাঞ্জির মানুষের সাথে প্রায় ৯৯% ডিএনএ সাদৃশ্য রয়েছে, যেটি এদের মানবজাতির সবচেয়ে কাছের প্রজাতি হিসেবে তুলে ধরে। তবে এখানে আসলে দু প্রজাতির এপ রয়েছে যাদের মানুষের সাথে ঘণিষ্ঠভাবে মিল রয়েছে। এদের একটি হল সাধারণ শিমপাঞ্জি (Pan troglodytes) আর আরেকটি হল বনোবো (Pan paniscus)।  মানুষের পূর্বপুরুষেরা ঠিক কিরকম দেখতে ছিল? তারা দেখতে বনোবো বা শিম্পাঞ্জির মতই ছিল কিনা কিংবা তাদের সাথে আচরণগত কোনো মিল ছিল কিনা এ গবেষণাটি গবেষকদের পর্যবেক্ষণে আশার আলো দেখিয়েছে।

ইউটিউবে দেখুনঃ