করোনা ঝুঁকিতে বানর,শিম্পাঞ্জি, গরিলারা


 

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে ক্রমবর্ধমান মানুষের মৃত্যুর সংখ্যার দিকেই সকলের নজর বেশি। যে সংখ্যাটি বর্তমানে মিলিয়ন পার করেছে। কিন্তু প্রাণী বিশেষজ্ঞরা দুশ্চিন্তায় আছেন আরও একটি কারণে

। সেটি হল প্রাণীরাজ্যে আমাদের প্রজাতির খুব ঘনিষ্ঠ বিপন্ন প্রাণী তথা এপরাও রয়েছে বেশ করোনা ঝুঁকিতে। এরাও SARS-CoV-2 ভাইরাস দ্বারা খুব সহজেই আক্রান্ত হতে পাড়ে যা কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঘটায়। 

 


 

সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রায় ৪০০ প্রজাতির মেরুদণ্ডী প্রাণী যার মধ্যে পাখি, মাছ, উভচর, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী রয়েছে যারা করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।  তবে সবথেকে ঝুঁকিতে রয়েছে বিপন্ন প্রজাতির প্রাইমেটরা যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাদা গালের গিবন, সুমাত্রান ওরাংওটাং, ওয়েস্টার্ন নিম্ন ভূমির গরিলা এবং বিপন্ন শিম্পাঞ্জি এবং বনোবো। এর প্রধান কারণ  মানুষের সাথে এদের ব্যাপক জিনগত মিল।   

আক্রান্ত মানুষেরা করোনা ভাইরাস পৃথিবীর সেসব স্থানেও ছড়াতে পারে যেখানে বন্যপ্রাণীরা মানুষের সংস্পর্শে আসে। আর এটা বিপন্ন প্রজাতির এসব প্রাণীদের জন্য সত্যিই দুঃসংবাদ। 

করোনার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে ১৮ প্রজাতির ওল্ড ওয়ার্ল্ড প্রাইমেট(বানর) ও গ্রেট এপরা। আর যেসব প্রাইমেটরা পরিবার নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে তারাও বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। 

যেমন পূর্ব আফ্রিকার গরিলারা ছোট ছোট পরিবার নিয়ে বাস করে। এরা খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে বাস করে। আর এরা ঠিক একই হারে আক্রান্ত হছে ও মারা যাচ্ছে, ঠিক যেমনটা মানুষের ক্ষেত্রে ঘটছে। দুশ্চিন্তার বিষয় হল এই গরিলার সংখ্যা মাত্র ৫০০০। এভাবে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটতে থাকলে অচিরেই এরা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। 

 


 

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আফ্রিকার ন্যাশনাল পার্কগুলোতে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ন্যাশনাল পার্কের স্টাফদের নিয়মিত টেস্ট ও পর্যবেক্ষণে রাখার পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কারণ মূলত তাদের থেকেই বন্যপ্রাণীদের সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য চিড়িয়াখানাগুলোকে বলিষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা গ্রহণ করার আহ্বান জানান হয়েছে।