এশিয়া মহাদেশে যে তিন প্রকার গণ্ডার দেখতে পাওয়া যায় তাদের মধ্যে একশিং গণ্ডার আকারে বৃহত্তম। এমনকি এরা আফ্রিকান সাদা গণ্ডারের চেয়েও বড়। অর্থাৎ এরা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণ্ডারের প্রজাতি। পুরুষ গণ্ডার ওজনে প্রায় ২.৭ টন হয়ে থাকে।
এদের নাকে একটি একক কালো শিং থাকে যেটি প্রায় ২০-৬০ সেন্টিমিটার লম্বা। এদের চামড়া ভাঁজযুক্ত ও ধূসর-বাদামি বর্ণের এবং দেখতে বর্মের মত। এরা উপরের ঠোঁট ব্যবহার করে কোন কিছু বেশ ভালভাবে আঁকড়িয়ে ধরতে সক্ষম।
দানবীয় একশিং গণ্ডাররা একাকী জীব। তবে তরুণ গণ্ডার কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক গণ্ডার সাধারণত কাদায় গড়াগড়ি দেয়ার সময় কিংবা ঘাস খাবার সময় একত্রিত হয়ে থাকে। পুরুষদের নিজেদের পৃথক এলাকা থাকলেও তাঁর সীমানা সুস্পষ্ট থাকেনা এবং প্রায়শই অন্যান্য গণ্ডারের এলাকার সাথে মিশে যায়।
স্ত্রী গণ্ডার ৫-৭ বছর বয়সেই প্রজননে সক্ষম হয়ে ওঠে। অন্যদিকে পুরুষ গণ্ডারের প্রজননে সক্ষম হতে প্রায় ১০ বছরের মত সময় লাগে। সমস্ত বছর জুড়েই প্রজনন চলতে থাকে। সাধারণত স্ত্রীদের গর্ভকাল ১৫-১৬ মাস হয়ে থাকে। এরা প্রতিবার একটি বাচ্চা প্রসব করে। আর বাচ্চাটি সাধারণত পরবর্তী ১-৩ বছরে আরেকটি বাচা জন্ম না নেয়া পর্যন্ত মায়ের সাথেই থাকে।
একশিং গণ্ডারের একমাত্র খাদ্যই হল ঘাস। যদিও এরা গাছের পাতা, শাখা-প্রশাখা, ফল ও জলজ উদ্ভিদ খেয়ে থাকে।