বাংলাদেশের বিষ পিঁপড়া - বিষ কাটুলা


 


 

বাংলাদেশের বিষ পিঁপড়া এর একটি প্রজাতির নাম বিষ কাটুলা, যেটি বাংলাদেশের প্রায় সকল স্থানেই দেখা যায়। এটির কামড় খেলে খুব যন্ত্রণা হয়

এবং কামড় দেয়া স্থানটি বেশ কয়েকদিন চুলকাতে থাকে। এজন্যই এর স্থানীয় নাম বিষ কাটুলা। 

এ পিঁপড়ের প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম Tetraponera rufonigra .  এর ইংরেজি নাম Bi-coloured Arboreal ant.  অর্থাৎ এই পিঁপড়ে গুলো গাছে বসবাস করে। সাধারণত গাছের শুকনো বাকলের ফাটল, কিংবা গাছের কোটর ও গর্তে এগুলো বাস করে। এদের বেশ বিষাক্ত ও সুগঠিত হুল রয়েছে যা মানুষের শরীরে বিঁধলে এলার্জির প্রতিক্রিয়া ঘটে। 

বিষ কাটুলা বেশ সক্রিয় শিকারি। এরা অত্যন্ত ক্ষিপ্রগতির। 


বাংলাদেশ ছাড়াও এ প্রজাতিটি ভারত, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, অস্ট্রেলিয়াতেও পাওয়া যায়। এদের কলোনি একটি রানী, এবং প্রায় ৩০০-৮০০ শ্রমিক নিয়ে গঠিত। রানী পিঁপড়ে শ্রমিকদের তুলনায় সামান্য বড় আকৃতির হয়ে থাকে। এরা স্বভাবে বেশ বদমেজাজি এবং নিজেদের এলাকা রক্ষা করে থাকে। বেশি গরমে এরা অধিক সক্রিয় থাকে। এরা বেশ দক্ষ শিকারি। ছোট ছোট পোকামাকড়, থেকে শুরু করে মিষ্টি খাবার ইত্যাদি খেয়ে থাকে। উত্তেজিত হলে এরা হুল ফুটাতে দ্বিধাবোধ করেনা। এরা খুব দ্রুত আরোহণ করতে পারে। অনেক সময় দড়িতে বা তারে কাপড় শুকাতে দিলে তার বেয়ে কাপড়ের ভেতর ঢুকে থাকে। আর সে কাপড় পরলেই এদের যন্ত্রণাদায়ক দংশনের সম্মুখীন হতে হয়। তাই কাপড় শুকাতে দিলে তা ভালোমত ঝেড়ে নিয়ে পরিধান করা উত্তম।