কিভাবে বন্যপ্রাণীরা বৃষ্টি থেকে নিজেদের রক্ষা করে?

 

বন্য পরিবেশে হোক কিংবা চিড়িয়াখানায়, বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টিপাত বন্যপ্রাণীরা থেকে নিজেদের রক্ষা করে থাকে বেশ কিছু অভিনব কায়দায়।  বন্যপ্রাণীরা বৃষ্টি থেকে নিজেদের রক্ষা করে তিনটি মৌলিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এগুলো হলঃ প্রজাতি, এক একটি প্রাণীর নিজস্ব আচরণ এবং মানুষের তৈরি আশ্রয় ও জিনিস।

 


 

মানুষের দুনিয়ার বাইরে ওরাংওটাংরাই বলতে গেলে সবচেয়ে ভালভাবে বৃষ্টি থেকে নিজেদের রক্ষা করে থাকে। ওরাংওটাংরা বাস করে মূলত বোর্নিও ও সুমাত্রার রেইনফরেস্টে যেখানে সবসময় বৃষ্টিপাত চলতে থাকে। যখন এই রেইনফরেস্টে ঝড় আসে তখন ওরাংওটাংরা নিজেদের বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে গাছের ডাল ও পাতা দিয়ে একরকম ছাতা বানিয়ে থাকে। 

অধিকাংশ স্থলচর প্রাণীরাই বৃষ্টির সময় আশ্রয় খুঁজে। বন্য প্রকৃতিতে তা হতে পারে গাছের গুঁড়ির ফাটল কিংবা গর্তে , পাথরের নিচে কিংবা পাতার নিচে । কিছু কিছু প্রাণী মাটির নিচেও চলে যায়। ছোট ছোট পরানিরা যেমন ইঁদুর ও কাঠবিড়ালিরা একে অপরের সাথে গাদাগাদি করে জড়িয়ে থাকে। কারণ এতে এদের শরীর উষ্ণ থাকে। 

 

 

 

বেশিরভাগ প্রাণীদের কাছেই বৃষ্টি যেন একটি উৎপাতের কারণ। প্রবল বর্ষণের সময় ব্যাঙ, কচ্ছপ ও মাছেরা পুকুর ও হ্রদের নিম্ন স্তরে চলে যায়। এদের মধ্যে কিছু কিছু আবার ডুবে থাকা পাথর বা কাঠের নিচে আশ্রয় খুঁজে নেয়। 

 

 

 

অনেক প্রাণী বৃষ্টি হলে খোলা আকাশের নিচেই থেকে যায়। গায়ে বৃষ্টি পরলে এরা সহ্য করে নেয়। যেমন গ্রিজলি ভালুক এমনটা প্রায়শই করে থাকে।

আবার সরীসৃপদের চামড়ায় থাকে এক ধরনের প্রোটিন যাকে বলে কেরাটিন। এই কেরাটিন সরীসৃপদের চামড়াকে পানিরোধি করে রাখে এবং একই সাথে সরীসৃপদের হাইড্রেট রাখতেও সহায়তা করে। 

 

 

 

ঝটিকাপূর্ণ আবহাওয়ায় কুমিরেরা খুব ভাল খাপ খাওয়াতে সক্ষম। প্রবল ঝড়ো বৃষ্টির  সময়ও এরা শান্ত-শিষ্ট ভাবে ঠায় বসে থাকে জলাশয়ের পাড়ে। এরা প্রবল বর্ষণে মোটেও উত্তেজিত হয়না। 

উটপাখি ও আফ্রিকান হরিণরা বৃষ্টি হলে ভীত হয়ে পড়ে এবং কোন গাছের নিচে আশ্রয় খুঁজে। 

 

 

যেসব প্রাণীদের শরীরে ঘন পশম রয়েছে যেমন ভাল্লুক, বাঘ, পাণ্ডা, কুকুর, ক্যাঙ্গারুদের রুয়েছে শরীরকে বিশেষ কায়দায় ঝাঁকিয়ে কয়েক মুহূর্তেই পানি ঝেড়ে ফেলার ক্ষমতা।